
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দাবি করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিষয়টি মানুষের মুখ থেকে সরাতে আসলাম চৌধুরীর নাটক সাজানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া এগারটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি এখন মানুষের মুখে মুখে। এঘটনা ধামাচাপা দিতে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের পতন শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। সেখান থেকে উত্তোরণে ভিন্ন কৌশলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই এখন তারা ইসরাইল, ইসরাইল বলে বেড়াচ্ছে। ভারতে বসে যদি বিএনপির কোনো নেতা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে গোপন বৈঠক করে থাকেন তাহলে তো ঘণ্টায় ঘণ্টায় সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হতো না।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জুন মাসে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ রাষ্ট্রীয় পতাকার নিচে বসে যদি ইসলাইলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডিনার করেছিলো তাতে এটাই কি প্রমাণ করেনা আওয়ামী লীগেই মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে। সেখানে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়ীক আমন্ত্রণে ইসরাইলের লোকের সঙ্গে কথা বলাটা কি করে ষড়যন্ত্র বলে?
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার তাদের বিরোধিতার কথা শুনলেই চমকে উঠে। কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, সেজন্য সমালোচনা শুনলেই দিশেহারা হয়ে পড়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। তার দাবি, রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে করা সব মামলা মিথ্যা।