
নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যকার আন্তর্জাতিক লেনদেন ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সুইফট-এরও ত্রুটি ছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির অভিযোগ করে আসছে।
কিন্তু এসব অভিযোগের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই দাবি করে তা অস্বীকার করেছে সুইফট। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ কথা বলে।
বিবৃতিতে সুইফট বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কোনো সদস্যের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব নয়।
রিজার্ভ চুরির তদন্তে থাকা বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফরমের সঙ্গে একটি নতুন ট্রানজেকশন সিস্টেম যুক্ত করে যান সুইফটের টেকনিশিয়ানরা। আর এ সময় তাদের ক্রুটির কারণে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভার হ্যাকারদের সামনে অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।
এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সুইফট বলছে, সুইফটের সঙ্গে যুক্ত প্লাটফর্ম এবং সংশ্লিষ্ট পরিবেশের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায় অন্য সব সদস্যের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের। প্রাথমিক পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সুইফটের বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের বাসেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে ব্যাংকের নিরাপত্তা ইস্যু ও এসব ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সাইবারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেডে) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থ এখনো ফিরে পাওয়া যায়নি।