
অবশেষে দীর্ঘদিন পর এক মঞ্চে বসলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সংসদের বিরোধী দলের নেতা ও এরশাদপত্নী রওশন এরশাদ। সর্বশেষ এ দুই শীর্ষ নেতা কবে এক মঞ্চে বসেছিলেন তা জাপার অনেক নেতাই জানেন না। এতে জাপার কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরও উপস্থিত ছিলেন।
রোববার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মে দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত এক সমাবেশে তাদের একই মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা গেছে।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি এরশাদ রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জিএম কাদের) কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিনই অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি রওশনকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ঘোষণা করে তার পন্থি হিসেবে পরিচিত জাপার একাংশ।
এ নিয়ে এরশাদ-রওশন দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। তারা এতদিন একে অপরের সব কর্মসূচি বর্জন করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। কো-চেয়ারম্যান না করা হলে কাউন্সিল করতে না দেয়াসহ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন রওশনপন্থিরা।
উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির তিন মাসের মাথায় স্ত্রী রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করার পর দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি টানেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এদিকে, আজকের সমাবেশে রওশন এরশাদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ তিনি এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।’
এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি আপনাদের সমর্থন থাকে তাহলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা নিতে রাজি আছি।’ এসময় নেতাকর্মীরা তাদের সমর্থন জ্ঞাপন করেন।
সমাবেশে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করায় নিজের এবং দলের পক্ষে থেকে রওশন এরশাদকে অভিনন্দন জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসনে বাবলা, কাজী ফিরোজ রশিদ, ফজলে ইমাম, শওকত হোসেন, হাসনা মিলি।