
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের আরও ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছেন দেশটির ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কাম সিন অং ওরফে কিম অং।
সোমবার তার কোম্পানি ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার এই অর্থ ফেরত দেন বলে মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সংবাদপত্র ‘দি ইনকোয়ারারের’ অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে।
ফিলিপাইনের মুদ্রাপাচার বিরোধী কাউন্সিলের (এএমএলসি) নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া ব্যাকে-অ্যাবাদ অর্থ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিম অংয়ের পক্ষ থেকে এর আগে গত ৩১ মার্চ ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং ৪ এপ্রিল আট লাখ ৩০ হাজার ৫৯৫ ডলার এএমএলসিকে ফেরত দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে হ্যাকারদের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা দেশে প্রথম জানাজানি হয় মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। মাস খানেক আগে চুরি হওয়া ওই অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক অত্যন্ত গোপনে মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে জোর তৎপরতা শুরু করে।
ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরার পত্রিকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে একটা খবর প্রকাশ করে।
ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে।
রিজার্ভের ওই অর্থ চুরির ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।