
ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এসেছে গ্রীষ্ম। তপ্ত আবহাওয়া যেন জানান দিচ্ছে সেই বার্তা। গরমে ঘামের সাথে শরীরের প্রয়োজনীয় পানি বের হয়ে যায়। এই সময় বেশি পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর পানিশূন্যতায় ভোগে এবং আমরা এই পানির অভাবজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। অনেকেই আছেন যারা পানি খুব বেশি পান করতে পারেন না। এতে করে শরীরের আরও বেশি ক্ষতি হয়। যারা বেশি পানি পান করতে পারেন না তাদের শরীরের পানিশূন্যতা প্রতিরোধে কিছু কাজ করতে হবে-
যেসব ফলে পানি বেশি রয়েছে সে সকল ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। বিশেষ করে দুপুরের দিকে এই ধরণের ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন বেশি করে। আর কিছু না পান তো লেবুর রস দিয়ে এক গ্লাস শরবত তৈরি করে পান করে ফেলুন। পানিশূন্যতার হাত থেকে বাঁচবেন।
ফলমূল থেকে শুরু করে কাঁচা খাওয়ার যোগ্য সকল ধরণের সবজির জুস তৈরি করে পান করার চেষ্টা করুন। ফলের সাথে পানি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে জুস তৈরি করতে পারেন। অথবা শুধু ফলের জুসও তৈরি করে পান করতে পারেন। এতে করে পানির অভাব পূরণ হবে এবং শরীরে ফলের পুষ্টিগুণ প্রবেশ করবে।
গায়ে বরফ ঘষে নিলেও আপনি পানিশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। গায়ে বরফ ঘষলে বডি হিট কমে আসবে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারবে না। এছাড়াও একটি বরফ মুখে নিয়ে চুষে খেতে পারেন। শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।
ডায়রিয়া বা রোগে পরেই যে শুধু স্যালাইন পান করতে হবে মন কোনো কথা নেই। স্যালাইন হচ্ছে পানিশূন্যতা দূর করার ভালো একটি পদ্ধতি। হাতের কাছে স্যালাইন রাখুন। এতে পানিশূন্যতা এবং দুর্বলতা দুটোই দূর হবে।