
২১ জন মিলে ধর্ষণ করেছে এক কলেজ ছাত্রীকে। মৃত্যুর পরও মেয়েটিকে ধর্ষণ থামায়নি নরপশুরা।
গত ১৬ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছ থেকে এ কলেজছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছয় দিন আগে থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
কলেজে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। পরে রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে তার লাশের হদিস মিলে। প্রায় ছিন্নভিন্ন, পঁচন ধরা লাশ। না পেটে ছুরি ঢুকিয়ে খুন নয়। আরও নৃশংস মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীটিকে।
জীবিত এবং মৃত অবস্থায় একের পর এক মোট ২১ জন ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ চালায়! সেই রিপোর্ট দেখে চমকে ওঠেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অফিসাররাও। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়। তখনই রিপোর্টে তার দেহে ২১ জনের ডিএনএ মেলে। রিপোর্টে জানা যায়, ধর্ষণ করার সময়ই অত্যধিক রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
তার পরও রেহাই মেলেনি। তার মৃতদেহের ওপরেও একের পর এক ধর্ষণ চলেছে। এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া মেয়েটির লাশ ধর্ষণকারীরা গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
পরে গাছ থেকে মেয়েটির মৃতদেহটি নামিয়ে ফের ধর্ষণ চালায় আরও একটা দল। টানা দুদিন ধরে মৃতদেহেই ধর্ষণ করে পরে ঝোপের মধ্যে লাশটি ফেলে দেয় নরপশুরা। সেখান থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের একজনের বাড়ি থেকে মেয়েটির স্কুলব্যাগ এবং আরেক জনের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।