
গর্ভপাত সুখকর নয়। নানাবিধ কারণে এখন অনেকেরই সন্তান নষ্ট হয় গর্ভে। সেইসঙ্গে চরম হতাশায় ডুবে যান মা ও তাঁর পরিবার। ফের কবে গর্ভধারণ করা সম্ভব, সেই নিয়ে দুশ্চিতা শুরু হয়। গর্ভধারণের সম্ভাবনা নিয়েও সন্দেহ উঁকি দেয়।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগ্যানাইজ়েশন (WHO) বলছে, গর্ভপাতের ৬ মাস পর সন্তানধারণ সুরক্ষিত। যদিও এব্যাপারে বেশি দেরি না করাই ভালো। এতে জটিলতা বাড়ে বই কমে না। গর্ভধারণ হলে, ভ্রূণ জরায়ুতে প্রবেশ না করে, জরায়ুর বাইরে অবস্থিত প্রবেশ পথ ফেলোপিয়ান টিউবের ভিতর বড় হতে শুরু করতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় একটপিক (ectopic) প্রেগন্যান্সি, বা আরও সহজ করে বললে টিউব প্রেগন্যান্সি। এতে ভ্রূণ বড় হওয়ার সময় টিউবে চাপ সৃষ্টি করে। একসময় টিউব ফেটে যায়। ভ্রূণটি নষ্ট হয়। প্রচণ্ড রক্তপাতের সঙ্গে তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় মায়ের। প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। আরও একটি সম্ভাবনা, কম ওজনের প্রিম্যাচিওর বাচ্চারও জন্ম হতে পারে।
WHO-এর পক্ষ থেকে ৬ মাস অপেক্ষা করতে বলার আরও একটি কারণ আছে। WHO বলছে, গর্ভপাতের ৬ মাসের মধ্যেই মায়ের জরায়ু সন্তানধারণের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সেই প্রস্তুতির সময় গর্ভধারণ হলে আবার মাসক্যারেজ হতে পারে। তাই ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।
মায়ের মানসিক অবস্থা বিচার করার পরামর্শও দিয়েছে WHO। সমস্ত অবসাদ কাটিয়ে সুস্থ মানসিকতায় উপনীত হতে অন্তত ৬ মাস সময় লাগতে পারে মায়ের। তাই মায়ের মন যতক্ষণ না শান্ত ও অবসাদমুক্ত হচ্ছে অপেক্ষা করা উচিত।
ফের যাতে গর্ভপাত না হয়, তার জন্য হবু মায়ের শরীরের খেয়াল নিতে পরামর্শ দিচ্ছে WHO। আগেরবার ঠিক কী কী কারণে গর্ভপাত হয়েছে, সেগুলিও যাচাই করতে বলছে। (নীচের লিঙ্কটি পড়ুন)। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যেস থাকলে বারংবার গর্ভপাত হতে পারে। তাই সেসব কু-অভ্যাস ছেড়ে দিতে বলছে WHO।