
নামের সঙ্গে মাখন লালের স্বভাবের কোন মিল নেই। তার মন গলানো খুব কঠিন। তার অভিপ্রায় যতদিন তার ছেলে বরদানন্দ বিএ পাশ না করে ততদিন তার বৌমা ষোড়শীর কাছ থেকে দুরে থাকবে। কিন্তু পড়াশোনার ধাত ছিল না শৌখিন বরদানন্দের মধ্যে। তার বড় শখ ছিল বিয়ের পর তামাক খাবে আর বউ নিয়ে আরামে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করবে। অন্তত পড়াশোনাটা করতে হবে না। কিন্তু বরদার বিবাহোত্তর পর্বে তার বাবা মাখন আরও কঠোর হয়ে উঠলেন- বরদানন্দকে বিএ পাশ করতেই হবে। আর তার পরেই সে ষোড়শীর সাক্ষাত পাবে।
বরদার বিধবা পিশিকে মাখন বাবু নিযুক্ত করলেন বরদা ও ষোড়শীকে পাহারা দেওয়ার জন্য। আর শহরের যাবতীয় শিক্ষকমন্ডলী নিয়োগ দিলেন ছেলেকে বিএ পাশ করাতে। পড়াশোনা বিমুখ বরদানন্দ প্রতিবারই অকৃতকার্য হতে লাগল। এতে মাখন বাবুর জেদ যেন দ্বিগুন হয়। বেচারা ষোড়শী তপস্যায় এই প্রার্থনা করতে শুরু করে বরদানন্দ যেন একবার অন্তত বিয়ে পাশ করে দেখিয়ে দেয়। একমাত্র বিয়ে পাশ-ই তার আর বরদানন্দের মাঝে বিরাট পর্বতের প্রতিবন্দকতার অবসান করতে থাকে। অসহ্য হয়ে বরদা সব ছেড়ে সন্যাসী হতে চলে যায় আর ষোড়শীও তার স্বামীর অনুসারী হয়ে ‘তপস্বিনী’র ব্রত গ্রহন করলে গল্প জমে ওঠে। এই আখ্যান নিয়ে নিয়ে নির্মিত হয়েছে টিভি নাটক ‘তপস্বিনী’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গল্কপ্প ‘তপস্বিনী’ অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন মান্নান হীরা আর পরিচালনা করেছেন আলপনা আক্তার। এতে বরদানন্দ চরিত্রে সজল, ষোড়শী চরিত্রে ক্যামেলিয়া রাঙা, বাবা মাখন লাল চরিত্রে তারিক আনাম খান, বরদানন্দের গৃহশিক্ষক চরিত্রে ড. ইনামুল হক এবং সিরাজুল ইসলাম আবেদ অভিনয় করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে আছেন বোরহান আজাদ, রঞ্জু চৌধুরী, আহমদ শামীম ও রাসেল রানা।
নাটকটি আগামী ১৩ মে শুত্রক্রবার রাত ৯টা ৫মিনিটে এনটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে।