
টঙ্গীতে দুই যুবক খুনের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিএনপি নেতাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
টঙ্গী মডেল থানার এসআই মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, নিহত শরিফুলের মা ইয়ানূর বেগম রবিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এর মধ্যে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়ছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার বিকালে আটক অপু, সোহেল ও শাহীনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশুকিশোর পরিষদের গাজীপুর মহানগরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শরিফুল ইসলাম (৩২) এবং তার সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে জুম্মন মিয়াকে (২৬) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
টঙ্গী মডেল থানার ডিউটি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, এরশাদনগর এলাকায় তাঁর পরিচিত ১২ জন পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলে শরীফ হোসেন ও সহযোগী জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল নিহত শরীফের। আর এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যায় জড়িত সন্দেহে সোহেল রানা, অপু ও শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সকালে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় শরীফুল ইসলাম ও একই এলাকার জুম্মন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত শরীফুল ইসলাম স্থানীয় যুবলীগকর্মী এবং শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। জুম্মন ছিলেন শরীফের বন্ধু। জুম্মন স্থানীয় একটি টুপি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।